Header Ads

Dry Skin: শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন? ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া টোটকাগুলি!

 


অনেক সময় আবহাওয়া, দূষণ ও জীবনধারার জন্যও অনেকের মধ্যে এই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দেখা যায়। বিশেষত, শীতের সময় কিংবা অনেকক্ষণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলে ঠোঁট, মুখ রুক্ষ হয়ে যায়। এর ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। তাহলে চলুন দেখা যাক, কীভাবে শুষ্ক ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়।

প্রত্যেক মানুষের ত্বক একে অপরের থেকে আলাদা হয়। কারোর তৈলাক্ত তো কারোর নর্ম্যাল, আবার কারোর সংবেদনশীল তো কারোর শুষ্ক ত্বক। যেহেতু ত্বকের ধরন আলাদা, তাই প্রত্যেকের ত্বকের যত্ন নেওয়ার ধরনও আলাদা হয়। যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরা সব সময় চেষ্টা করেন ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখার।

অনেক সময় আবহাওয়া, দূষণ ও জীবনধারার জন্যও অনেকের মধ্যে এই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দেখা যায়। বিশেষত, শীতের সময় কিংবা অনেকক্ষণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলে ঠোঁট, মুখ রুক্ষ হয়ে যায়। এর ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। তাহলে চলুন দেখা যাক, কীভাবে শুষ্ক ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়।

ব্যায়াম– আপনি যখন ব্যায়াম করেন তখন আপনার ঘাম হয়। এতে আপনার লোম ছিদ্র খুলে যায় এবং ভিতর থেকে প্রাকৃতিক তেল বাইরে বের হয়। এই তেল আপনার ত্বককে নমনীয় করে রাখে এবং শুষ্কতাকে বাধা দেয়।

মধু– শুষ্ক ত্বকের জন্য মধু খুব উপকারী। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে ত্বকে মধু লাগালে ত্বকের নমনীয়তা বজায় থাকে। নিয়মিত ১০ মিনিট মুখে মধু লাগালেই আপনি নিজেই পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।

দুধ– রুক্ষ ত্বককে সুন্দর বানানোর জন্য অর্ধেক কাপ দুধে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে ত্বকের ওপর প্রয়োগ করুন। এতে দূর হবে ত্বকের শুষ্কতা এবং বাড়বে উজ্জ্বলতা।

আয়ুর্বেদিক চা– শুধু ত্বকের ওপর দিয়ে নয়, ভিতর থেকেও ত্বককে রাখতে হবে নমনীয়। এর জন্য নিয়মিত পান করুন আয়ুর্বেদিক চা। এতে শুধু ত্বকের রুক্ষতা দূর হবে না বরং উন্নত হবে ত্বকের স্বাস্থ্য।

তিলের তেল– এক চামচ তিলের তেলে অল্প দুধ মিশিয়ে নিন মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। ২০ মিনিট হালকা মালিশ করার পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে আপনার ত্বক নরম, মোলায়াম এবং সুন্দর হবে। প্রয়োজনে এর সঙ্গে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।

বাদাম তেল– বাদামের তেল এবং মধু সম পরিমাণ নিয়ে ত্বকে মালিশ করুন। ১৫ মিনিট পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিলেই রুক্ষ ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। এছাড়া রাতে ঘুমনোর আগে দুধে এক চামচ বাদাম তেল মিশিয়ে পান করুন, এতেও লাভ পাবেন।

নারকেল তেল– নারকেল তেল ত্বকের সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। প্রতিদিন ত্বকে নারকেল তেল প্রয়োগ করলে এর ফল আপনি নিজেই অনুভব করতে পারবেন কয়েক দিনের মধ্যে।

ডিম– ডিমের হলুদ অংশ ত্বকে লাগালে ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়ে যায়। এমনকি ডিমকে ফেসমাস্ক হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকে প্রোটিন প্রদান করে এবং ত্বককে আরও সুন্দর করে তোলে।

বেসন– এক চামচ হলুদ, এক চমক মধু এবং অল্প দুধে দু চামচ বেসন মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন, শুকনো হয়ে গেলে গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের শুষ্কতা থেকে শুরু করে যে কোনও সমস্যাকে দূর করে দেবে এই ফেসপ্যাক।

ভিনিগার– যদি আপনার ত্বক অত্যধিক রুক্ষ এবং তাতে জ্বলনও হয়, তাহলে দু চামচ ভিনিগার এক মগ জলে মিশান এবং স্নানের পর রুক্ষ ত্বকে প্রয়োগ করুন।

No comments

Powered by Blogger.