Header Ads

চিন্ময় দাসের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের ছেলে ভারতের নাগরিক!

 সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা প্রতিনিধি:




ভারতে বসে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুরেই বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। তিনি দেশদ্রোহীতার মামলায় চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে ছেলের ফ্ল্যাটে এসে ওঠেন রবীন্দ্র ঘোষ। সোমবার ও মঙ্গলবার দিনভর ভারতীয় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি যমুনা টেলিভিশনের বুম (লোগোসহ মাইক্রোফোন) দেখে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন। বেশ কিছু ব্যক্তিগত প্রশ্নের সম্মুখীন হলে তিনি সেগুলোর সন্তোষজনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন।

রবীন্দ্র ঘোষের দাবি, ১৯৯০-এর দশকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে রাজনৈতিক নিপীড়নের কারণে তিনি তার দুই সন্তানকে ভারতে রেখে যান। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, জন্মসূত্রে বাংলাদেশি হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে তার ছেলেরা ভারতে নাগরিকত্ব পেলেন। বর্তমানে তারা দুজনই বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত এবং তাদের নামে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় বাড়িও রয়েছে।

রবীন্দ্র ঘোষ দাবি করেছেন, তিনি কলকাতায় কোমরের হাড় ভাঙার চিকিৎসা করাতে এসেছেন। ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস থেকে পাওয়া পাঁচ বছরের মেডিকেল ভিসা ব্যবহার করেই তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। তবে অভিযোগ উঠেছে, চিকিৎসার আড়ালে তিনি রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

ভারতের বেশ কিছু হিন্দু সংগঠন এবং বিজেপি নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলেও তিনি স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার তিনি সাবেক বিজেপি সংসদ সদস্য অর্জুন সিং এবং সনাতনী ধর্মগুরু কার্তিক মহারাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

রবীন্দ্র ঘোষ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ভারতীয় গণমাধ্যমে মুখ খোলার কারণে দেশে ফিরলে তিনি গ্রেফতার হতে পারেন।

বাংলাদেশ হাইকমিশন বা সরকারের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রবীন্দ্র ঘোষ ভারত সফরের সময় বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে ভিসানীতি লঙ্ঘন করেছেন।

collected ..

No comments

Powered by Blogger.